পরকীয়া, লিভ টুগেদার ও অবাধ যৌনাচারের প্রবণতা পবিত্র পারিবারিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে বংশধারার স্বচ্ছতা ও পবিত্রতা। বেড়ে গেছে নৈতিক অবক্ষয়।
এর কারণে সমাজে বিপর্যয় নেমে আসবে এবং সমাজব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রতিটি মানুষের উচিত সমাজে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী এই অপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
বিয়েবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে ইসলামী পরিভাষায় ‘জিনা’ (ব্যভিচার) বলা হয়, যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’
(সুরা ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩২) পরকীয়া সমাজে অশান্তি ও বংশের পবিত্রতা নষ্ট করার অন্যতম নীরব হাতিয়ার। এটি সমাজব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য এত বড় অস্ত্র যে রাসুল (সা.) একে জিনা-ব্যভিচারের চেয়ে ১০ গুণ বড় অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ১০২)। অবাধ যৌনাচার প্রাকৃতিক বিপর্যয়েরও একটি কারণ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।